বিএনপি বলেছে, ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে জনগণের বর্জনের মধ্য দিয়ে সংসদ সব বৈধতা হারিয়েছে। দলটি অতি দ্রুত নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণহারে হত্যা, গুম, নির্যাতনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ধ্বংস করে বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে বলে দলটি অভিযোগ করেছে।নির্বাচন চায় বিএনপি
দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৃহস্পতিবার রাতের বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে এ কথা বলা হয়।
শুক্রবার দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে তার গুলশানের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার হীন উদ্দেশে নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে বলে নেতৃবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেন। অবিলম্বে এসব বন্ধের জোর দাবিও জানানো হয় বৈঠকে। সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, বিরোধী দলকে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ ও মিছিল করার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে এই অবৈধ সরকার একনায়কতান্ত্রিক সরকারে পরিণত হয়েছে। বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ ও মিছিল করার গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানানো হয় সভায়।
জনগণের নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকার এবং সংসদ অবৈধ, অনৈতিক ও অসাংবিধানিক হয়ে পড়েছে বলেও মত দেন নেতারা। এ প্রেক্ষাপটে অতি দ্রুত সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানানো হয়।