৪৬৭ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ব্যাট করার সময় তেমন পায়নি। দিনের শেষ বেলায় মোটে ৮ ওভার ব্যাট করেছে। ফলে বাংলাদেশের আসল পরীক্ষা টেস্টের শেষ দিনেই। বাংলাদেশ চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে করেছে ১২। তামিম ইকবাল অপরাজিত রয়েছেন ৭ রানে, শামসুর রহমান ৪ রানে।
চতুর্থ ইনিংসে ৪৬৭ করতে হলে রীতিমতো ইতিহাসই গড়তে হবে বাংলাদেশকে। নিজেদের সামর্থ্য বিচারে সে রেকর্ড গড়ার দুঃসাহসিক স্বপ্ন না দেখাই ভালো। বরং এ ম্যাচ ড্র করে ফিরলেই সেটি হবে জয়তুল্য! মুশফিকুর রহিমের দলকে সেটি করতে হলে ওভারপ্রতি ১.৫০ কেন, এর চেয়ে কম হলেও সমস্যা নেই, কেবল উইকেট টিকিয়ে রাখতে হবে। তবেই ড্র করা সম্ভব।
প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। দ্বিতীয় ইনিংসেও একই রূপে আবির্ভূত হয়েছেন শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান। পৌঁছেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৫তম শতকে। শতক পূর্ণ করেই বোল্ড হয়েছেন সোহাগ গাজীর বলে। প্রথম ইনিংসে ৩১৯ রানের ইনিংসটি খেলে এই টেস্ট স্মরণীয় করেই রেখেছেন। সামনে ছিল আরও একটি রেকর্ড গড়ার সুযোগ। আর ৩৩ রান করলেই ভেঙে ফেলতে পারতেন এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড। ১৯৯০ সালে ভারতের বিপক্ষে এক টেস্টে ৪৫৬ রান করেছিলেন গ্রাহাম গুচ। দুই ইনিংস মিলিয়ে সাঙ্গাকারার সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪২৪। এক টেস্টে দুই ইনিংসে ট্রিপল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি করার রেকর্ড এখন কেবল দুজনের—গুচ ও সাঙ্গাকারার।
সেঞ্চুরিটি দারুণ হলেও ভাগ্যদেবীর ছোঁয়া ছিল তাঁর এই ইনিংসে। ৩৬ রানের মাথায় ক্যাচ দিয়েছিলেন সাকিবের বলে। কিন্তু ডিপ মিড-উইকেটে সেটি তালুবন্দী করতে পারেননি নাসির হোসেন। নতুন জীবন পাওয়ার সুযোগ ভালোমতোই কাজে লাগিয়েছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। সাঙ্গাকারার দিনে দিনেশ চান্ডিমালও কম যাননি। তিনি পেয়েছেন তৃতীয় টেস্ট শতক। এর সঙ্গে ম্যাথুসের অপরাজিত ৪৩ রানের সুবাদে ৪ উইকেটে ৩০৫ করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ, ১টি করে পান সোহাগ গাজী ও সাকিব আল হাসান।