
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সেখানে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই হিন্দি গানের সঙ্গে নাচছিলেন অভিষেক নাথ। পনেরো বছরের অভিষেক ভালো নাচেন বলে এলাকায় নাম আছে। দুরন্ত সব স্টেপে দর্শকদের মাতিয়ে দিয়েছিলেন।
কিন্তু আচমকাই ঘটে যায় এ ঘটনা। সবাই মনে করেছিল, এটা বোধহয় ডান্স-স্টান্ট অভিষেকের। নাচতে নাচতে হঠাৎ যেন কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় অভিষেকের স্টেপ। এরপরই মুখ থুবড়ে সামনে পড়ে যায়।
অভিষেকের সহকারী ড্যান্সাররা ভেবেছিলেন, এটা বোধহয় অভিষেকের নতুন কোনও স্টান্ট। কিছু বুঝে উঠতে না পেরে সহকারী ড্যান্সার মঞ্চে চলে এসে নাচতে থাকে। এরপর আচমকাই পাশ থেকে টলমবল পায়ে উঠে দাঁড়ায় অভিষেক।
কিন্তু ঠিক করে দাঁড়ানোর আগেই ফের মঞ্চের উপরে লুটিয়ে পড়েন। এক মহিলার আর্তচিৎকারে সবার সম্বিৎ ফেরে। সবাই ছুটে আসেন স্টেজের উপরে। কারণ ততক্ষণে সবাই বুঝে গিয়েছেন, অভিষেকের মারাত্মক কিছু হয়েছে। তড়িঘড়ি চ্যাংদোলা করে অভিষেককে ব্যাক স্টেজে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক জানিয়ে দেন, রাস্তাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত অভিষেকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুধপাতালি গ্রামের মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে যান। বাতিল করে দেয়া হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান।
রোববার রাতের এ ঘটনা সোমবার বিকেলে সামনে আসে। চারিদিকে এ খবর জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায়। নেটদুনিয়ায় অভিষেকের শেষমুহূর্তের নাচের ভিডিও কেউ আপলোড করে দিয়েছিল। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
গত কয়েক বছর ধরে নাচতে নাচতে বেশকিছু মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এর মধ্যে শেষ যে ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল তা মুম্বাইয়ের। এক তরুণী নাচতে নাচতে স্টেজে লুটিয়ে পড়ে। এর আগে ২০১৮-এর শুরুতেও বিয়ে করতে যাওয়া পাত্রের মৃত্যু হয়।
তিনি বিয়ে করতে যাওয়ার সময় নাচানাচি করেছিলেন। বিয়ে বাড়িতে ঢোকার আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বরের মৃত্যু হয়। আসামের কিশোরের মর্মান্তিক পরিণতি যেন সেই ঘটনাকেই খেয়াল করিয়ে দেয়।
ফেমাসনিউজ২৪/এফএম/এমএম