
কিন্তু কি কারণে আত্মহত্যা তা এখনও জানা যায়নি। প্রশ্ন উঠছে, সম্পর্কের টানাপোড়েনে আত্মহত্যা নাকি অবসাদে আত্মহত্যা? মোবাইলে চ্যাটের নথি ঘিরে রহস্য ঘণীভূত হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ঝাঁসির বাড়িতে গিয়েছিলেন তার ভাই দুর্গাপ্রসাদ। পুলিশকে তিনি জানান, অনেক বার কলিং বেল বাজানোর পরও দরজা খোলেননি ঝাঁসি। সন্দেহ হওয়ায় তিনি দরজা ভাঙতেই সিলিং ফ্যানে অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপ্রসাদ পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, হায়দরাবাদের ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন ঝাঁসি। অভিনেত্রীর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফোনের কল ও চ্যাটিং রেকর্ড ঘেঁটে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, মৃত্যুর আগে এক ব্যক্তির সঙ্গে চ্যাটে কথা হয় ঝাঁসির।
আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের সঙ্গে ঝাঁসির সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাদের দাবি, অভিনেত্রীর পরিবার সেই সম্পর্ক মানতে চাইছিল না। ফলে বেশ কয়েক মাস ধরেই ঝাঁসি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
ঝাঁসি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে খুন করা হয়েছে তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটিকে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যাই মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঝাঁসির ওই দূর সম্পর্কের আত্মীয়েরও খোঁজ চালানো হচ্ছে।
জানা গেছে, অভিনেত্রী একটি বিউটি পার্লার চালাতেন আমিরপেট এলাকায়। তারপর সেখান থেকে তার সঙ্গে এক যুবকের প্রণয় তৈরি হয়। পরবর্তীকালে সেই সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। সেখান থেকেই নাকি অবসাদের সূত্রপাত। আর তা থেকেই আত্মহত্যা।
ফেমাসনিউজ২৪/এফএম/এমএম