
সেই স্মৃতি ফিরে এল আবার। বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে জঙ্গিদের হামলা চালানোর পর ফের পাকিস্তানি শিল্পী-অভিনেত্রীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি উঠেছে।
ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেকটরস অ্যাসোসিয়েশনের (IFTDA) প্রেসিডেন্ট অশোক পণ্ডিত বলেছেন, ওই দেশে ছবি রিলিজ করানোই উচিত নয়। যদি ভারত পাকিস্তান থেকে আয় করতে শুরু করে তাহলে ওরা আমাদের শত্রুই মনে করবে। শুধু ছবি নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে যেকোনও বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়া দরকার।
‘টোটাল ধামাল’ ছবিটি পাকিস্তানে মুক্তি পাবে না। ট্রেড অ্যানালিস্ট অতুন মোহন জানিয়েছেন, যখন একটি ফিল্মের ডিস্ট্রিবিউশন পায় পাকিস্তান, তারা ওই ছবি থেকে অনেক টাকা ঘরে তোলে। এটা একেবারেই হতে দেয়া যায় না।
ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার্স প্রোডিউসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এ নিষেধাজ্ঞা দু-চার দিনের জন্য নয়, যতদিন সম্ভব কার্যকর রাখা উচিত।
‘সিমরন’ ও ‘এম এস ধোনি’ ছবির নির্মাতা অমিত আগারওয়াল জানিয়েছেন, আমার সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কারণ দেশের থেকে বড় আমার কাছে আর কিছু নয়।
অভিনেত্রী শাবানা আজমি জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংস্কৃতির আদান-প্রদান বন্ধ হওয়া দরকার। যখন আমাদের জওয়ানরা শহিদ হয়ে যাচ্ছেন, তখন এসবের কোনও দরকার নেই। পুলওয়ামার হামলার পর তিনি ও জাভেদ আখতার তাদের করাচি যাত্রা বাতিল করেন।
অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত বলেছেন, পাকিস্তান শুধু আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার উপর হামলা চালায়নি। ওরা আমাদের মর্যদাকেও আঘাত করেছে। আমাদের কড়া পদক্ষেপ নেয়া উচিত। না হলে আমাদের মৌনতার তারা ভুল মানে বের করবে।
একই কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে অভিনেতা মোহিত রায়নার গলাতেও। তিনি বলেছেন, শাবানা আজমি আর জাভেদ আখতার যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত একেবারে ঠিক। তাদের মতো অভিজ্ঞ মানুষের থেকে যখন এমন প্রতিক্রিয়া আসে তা সিরিয়াসলি নেয়া উচিত। গোটা দেশের এখন একসঙ্গে শহিদদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে।
ফেমাসনিউজ২৪/এফএম/এমএম