
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়টি যোগ্য ও আধুনিক গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যে মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে শিক্ষা ঋণ, স্কলারশিপ, ওয়েভার।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখানে প্রস্তুত রয়েছে ডিজিটাল লাইব্রেরি, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা কারিকুলাম, অভিজ্ঞ ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী ফুলটাইম শিক্ষকম-লী, ক্যারিয়ার সার্ভিস ও ইন্টারন্যাশনাল অফিস, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিস, কাউন্সেলিং অফিস, সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা, কোয়ালিটি শিক্ষা নির্ধারণী সেল, ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধাসহ উচ্চশিক্ষার নানা উপকরণ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট চারটি অনুষদ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়ে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডে চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মুঘল। অন্য সদস্যরা হলেন- আবুল কাশেম হায়দার, প্রোফেসর ড. একেএম সাইফুল মজিদ, প্রোফেসর ড. এবিএম শাহিদুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, এস এম বকতিয়ার আলম, রেজাউল হায়দার, আলহাজ নুরুউদ্দিন দেওয়ান, মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ, এস এম এমদাদুল ইসলাম, ইমরোজ হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা, আবুল খায়ের চৌধুরী, মো. আজিজুল ইসলাম, এম শাকিল ওয়াহেদ, আলহাজ খন্দকার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, এসকে সাইদুর রহমান, মোহাম্মদ আলী আজম, এএইচএম সামসুজ্জামান, প্রোফেসর ড. শহীদ আক্তার হোসেন (ভাইস চ্যান্সেলর)।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে প্রকৌশল অনুষদ, কলা অনুষদ, আইন অনুষদ, ব্যবসা অনুষদ।
যেসব কোর্স করতে পারবে-
বিএসসি ইন সিএসই, বিএসসি ইন ইইই, বিএসসি ইন ইইই (সান্ধকালীন), বিএসসি ইন ইটিই, বি.এ. (অনার্স) ইন ইংলিশ, এম.এ. ইন ইএলটি (১ বছর), এম.এ. ইন ইএলটি (২ বছর), এম.এ. ইন ইএলএল, এল.এল.বি. (অনার্স), এল.এল.এম. (১ বছর), বিবিএ, এমবিএ (নিয়মিত), এমবিএ (এক্সিকিউটিভ)
শিক্ষা পদ্ধতি
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি চার মাসে একটি সেমিস্টার। সেই হিসেবে বছরে থাকে তিনটি সেমিস্টার। বছরের শুরুর সেমিস্টারটি হল ‘স্প্রিং’, মাঝেরটা ‘সামার’ এবং শেষেরটা ‘ফল’। প্রতিটি অনুষদের জন্যই এই একই নিতিমালা প্রযোজ্য।

স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তি প্রক্রিয়া
প্রথমত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি ফরম ডাউনলোড করতে হবে। অথবা ভর্তি অফিস থেকেও ফরমটি সংগ্রহ করা যাবে। ফরমে নির্ধারিত সকল ফাকা জায়গা পূরণ করতে হবে। সংগৃহীত ফরমটি ভর্তি অফিসে স্বশরীরে গিয়ে জমা দিতে হবে। ফরমের সাথে সদ্য তোলাদুই কপি পাস্পোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি সাত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। ফরম বাবদ তিনশত টাকা ফি জমা দিতে হবে। যদি ফরমটি পূর্বেই অফিস থেকে সংগৃহীত হয়ে থাকে তবে তা নেয়ার সময় ফি দিতে হয়, তাই আর পরে ফি দেয়া লাগে না। কিন্তু ডাউনলোড করা ফরমের ক্ষেত্রে পরে ফি জমা দিতে হয়। অফিস থেকে লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
যে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের এসএসসি ও এইচএসসি উভয়ে অথবা সম মানের পরীক্ষায় জিপিএ ৫ আছে, তাদের লিখিত পরীক্ষা দেয়া লাগবে না, কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তির্ণ হওয়ার পরে, পূর্বের অর্জিত সকল সার্টিফিকেটের ও প্রসংশাপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রত্যেকটি এক কপি করে) জমা দিতে হবে। সদ্য তোলা ২ কপি পাসস্পোর্ট ও ২ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙ্গিন ছবি সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।
ভর্তি ফি জমা দিতে হবে (ঢাকা ব্যাংকের যেকোন শাখায় অথবা আইএফাইসি ব্যাংকের ধানমন্ডির মিরপুর রোড শাখায় (রয়্যাল প্লাজা) জমা দিতে হবে। ব্যাংকের রশিদ ভর্তি অফিসে জমা দিয়ে অন্যান্য ফর্মালিটিগুলো পালন করে আইডি নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। নবীন বরণ অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র নিতে হবে। এরপর ক্লাস শুরু হলে নিজ অনুষদ থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।
স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের অবশ্যই এসএসসি/দাখিল পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ এবং এইচএসসি/আলিম/ডিপ্লোমা (টেকনিক্যাল বোর্ড) পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২.০০ এবং উভয় পরীক্ষার জিপিএ-এর যোগফল ন্যূনতম ৬.০০ হতে হবে। জিসিই ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে, ‘ও’লেভেলে ন্যূনতম জিপিএ২.৫০ (পাঁচ বিষয়ে পাশসহ) এবং ‘এ’ লেভেলে ন্যূনতম জিপিএ ২.০০ (দুই বিষয়ে পাশসহ) থাকতে হবে। ‘ও’লেভেল কিংবা ‘এ’ লেভেলের কোনো বিষয়েই ‘ই’গ্রেড থাকা যাবেনা।
স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি প্রক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে। অথবা, ভর্তি অফিস থেকেও ফর্মটি সংগ্রহ করা যাবে। ফর্মে নির্ধারিত সকল ফাকা জায়গা পূরণ করতে হবে। ফর্মের সাথে সদ্য তোলা ৪ কপি পাসস্পোর্ট ও ২ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙ্গিন ছবি সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। পূর্বের অর্জিত সকল সার্টিফিকেটের ও প্রসংশাপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রত্যেকটি এক কপি করে) জমা দিতে হবে।
ভর্তি ফি জমা দিতে হবে (ঢাকা ব্যাংকের যেকোন শাখায় অথবা আইএফাইসি ব্যাংকের ধানমন্ডির মিরপুর রোড শাখায় (রয়্যাল প্লাজা) জমা দিতে হবে)। ব্যাংকের রশিদ ভর্তি অফিসে জমা দিয়ে অন্যান্য ফর্মালিটিগুলো পালন করে আইডি নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। নবীন বরণ অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র নিতে হবে। এরপর ক্লাস শুরু হলে নিজ অনুষদ থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।

স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা
এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই নূন্যতম জিপিএ ২.৫০ অথবা দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করতে হবে। জিসিই ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে, ‘ও’লেভেলে ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ (পাঁচ বিষয়ে পাশসহ) এবং ‘এ’ লেভেলে ন্যূনতম জিপিএ ২.০০ (দুই বিষয়ে পাশসহ) থাকতে হবে। ‘ও’লেভেল কিংবা ‘এ’ লেভেলের কোনো বিষয়েই ‘ই’ গ্রেড থাকা যাবেনা। ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ বা সিজিপিএ ২.৫০ সহ স্নাতক পাশ থাকতে হবে। এক্সিকিউটিভ এমবিএ প্রোগ্রামের জন্য এইগুলোর সাথে ন্যূনতম দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার খরচ-
ভর্তি ফি
যে কোনো প্রোগ্রামেই ভর্তির জন্য ফি নেয়া হয় ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা।
টিউশন ফি
টিউশন ফি নেয়া হয় ক্রেডিট আওয়ার হিসেবে। যে প্রোগ্রামে যে রকম ক্রেডিট আওয়ার থাকে, তার জন্য সেরকম খরচ হবে। নিচের ছকে কোন প্রোগ্রামের কত ক্রেডিট আওয়ার এবং কোন প্রোগ্রামের জন্য প্রত্যেক ক্রেডিট আওয়ার ফি কত তা দেয়া হলঃ
অন্যান্য ফি
রেজিস্ট্রেশন ফি (প্রতি সেমিস্টার) দুই হাজার, উন্নয়ন ফি (প্রতি সেমিস্টার) দুই হাজার, সেমিস্টার কার্যক্রম ফি (প্রতি সেমিস্টার) এক হাজার, ল্যাব ফি (প্রতি সেমিস্টার) পাঁচশ টাকা, লাইব্রেরী ফি (প্রতি সেমিস্টার) পাঁচশ টাকা।
যেকোন প্রোগ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে, প্রতি সেমিস্টারে টিউশন ফি ছাড়া অন্যান্য ফি বাবদ দিতে হয় মোট ৬,০০০ (ছয়) হাজার টাকা।
টাকা জমা দেয়ার পদ্ধতি
প্রতি সেমিস্টারের শুরুতে অন্যান্য খরচ বাবদ ছয় হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। প্রতি সেমিস্টারের টিউশন ফি-কে সমান তিন ভাগে ভাগ করে, তিন কিস্তিতে দিতে হয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির তারিখ নোটিশ বোর্ডে দেয়া হয়। সাধারণত, সেমিস্টারের মাঝে এক মাস অন্তর অন্তর তিনটি তারিখ দেয়া হয়।
ফেরতযোগ্য জমা
লাইব্রেরী ও ল্যাব সিকিউরিটি বাবদ ফেরতযোগ্য জামানত দুই হাজার টাকা ভর্তির সময় জমা দিতে হবে, যা ডিগ্রী নেয়া শেষে ফেরত দেয়া হয়।
টিউশন ফি ছাড়/ স্কলারশীপ
স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য, ভর্তির সময় পূর্বের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ১০% থেকে ১০০% পর্যন্ত ছাড় দিয়ে থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। এছাড়াও প্রত্যেক সেমিস্টারের ফলাফলের ভিত্তিতে পরের সেমিস্টারে ১০% থেকে ৫০% ছাড় দেওয়া হয়। সকল ছাত্রীদের জন্য ১০% স্পেশাল ছাড় থাকে। আদিবাসীদের জন্য থাকে ১৫% এবং স্বামী-স্ত্রী একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়তে পড়লে তারা দুইজনই পাবে ২৫% ছাড়। তাছাড়া শারীরিক বিকলঙ্গ এবং অসচ্ছল-মেধাবীদের জন্য থাকে স্পেশাল কিছু ছাড়।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. শহীদ আখতার হোসেন। তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ধনীর ছেলেরা পড়ে, এ রীতি এখানে নেই। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে বেশির ভাগই নিম্নমধ্যবিত্ত। এমনও ছাত্র রয়েছে, যাদের আড়াই লাখ টাকা বাকি রয়েছে। তার পরেও তাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে। যে যা দিচ্ছে ওটা দিয়েই তাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, শিক্ষার দেবার ক্ষেত্রে কোন ছাড় নেই। একজন শিক্ষার্থীকে আধুনিক শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি।
তিনি বলেন, দেশে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট বিক্রি করে। টাকার বিনিময়ে পাশ করে দেয়। এসব অনিয়মের কোনটিই নেই ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে। যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হতে চাও তাদের জন্য আমার বার্তা আর্থিক সচ্ছলতা না থাকলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেবে না। ডিগ্রি আর্ন না করতে পারা বা মাঝপথে থেমে যেতে হবে এমন সিদ্ধান্ত কেউ নিয়ো না। কারণ আমার তো সেই সঙ্গতি নেই যে বিনা পয়সায় পড়ানো। নতুন শিক্ষার্থীদের আমি বলব, তোমাদের চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। কারণ তোমাদের পাবলিক ও অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। সেই অনুযায়ী পড়ালেখা করতে হবে।
ফেমাসনিউজ২৪.কম/আরআই/আরবি