
গোপালপুরে আঘাত হানার সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় তিতলি।
প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন স্থানে গাছপালা এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে গেছে এবং কুচা এলাকায় বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গোপালপুর এবং বার্হামপুরসহ বেশ কিছু এলাকায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।
আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। আবহাওয়া দফতর জানায়, বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘোরাফেরা করা গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
এদিকে দুর্যোগের কারণে জরুরি বৈঠকে বসেছেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। গঞ্জাম, পুরী, খুরদা, কেন্দ্রাপড়া ও জগৎসিংহপুর থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ বৃহস্পতি ও কাল শুক্রবার উড়িষ্যার চার জেলার স্কুলকলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তিতলির প্রভাবে শুক্রবার গঞ্জাম, গজপতি, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপড়া, খুরদা, নয়াগড়, কটক, জাজপুর, ভদ্রক ও বালেশ্বরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবারও উড়িষ্যার উপকূলবর্তী কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার রাত থেকে দক্ষিণ উড়িষ্যার উপকূল ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছে। তা ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটারও হতে পারে। দক্ষিণ উপকূলে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। সমুদ্র অশান্ত থাকায় শুক্রবার পর্যন্ত ওড়িষ্যা উপকূল এবং মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকার জেলেদের সতর্ক করা হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কায় উড়িষ্যার জেলায় জেলায় সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। মুখ্য সচিব এ পি পাধি জানিয়েছেন, দুর্যোগে একজনেরও যেন প্রাণহানি না হয়, তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য। বিশেষ ত্রাণ কমিশনার বিপি শেট্টি জানিয়েছেন, বিপজ্জনক ও নিচু এলাকাগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ফেমাসনিউজ২৪.কম/আরআই/আরবি