
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনাদের যা-ই আছে দু’টি কাজ করতে পারেন। যাদের নামে গায়েবি মামলা দিয়েছে এই ১০ হাজার লোককে নিয়ে হাইকোর্টের ময়দানে বসেন। আরেকটা মহিলা দলের যারা আছেন আপনারা ভ্যানগাড়ি করে হলেও সারাদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি চান। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা ট্রাজেডি স্মরণে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ২৪ ফেব্রুয়ারি রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম. আমিনুর রহমান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান খান, এম সারোয়ার হোসেন, মো. হানিফ, সাইদুল ইসলাম, আহম্মেদ ফেরদৌস, সৈয়দ এহসানুল হুদা, আজাদ মাহবুব প্রমুখ।
পিলখানায় ৫৭ জন সামরিক কর্মকর্তা হত্যা এবং চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৭০ জন নিহতের ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করেনজাফরুল্লাহ চৌধুরী। বলেন, ভারতীয় নকল পণ্যের এবং তাদের একমাত্র অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা ছিল কেরানীগঞ্জ ও চকবাজার। আমি মনে করি- ২০ ফেব্রুয়ারি এবং পিলখানা গণহত্যায় সমন্বয় ঘটিয়েছে ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী 'র' এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেক গোয়েন্দা বাহিনী।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার জন্য আমরা অনেক আবেদন করেছি, কিন্তু সরকার পক্ষ করেনি। আমরা ২৫ ফেব্রুয়ারি শহীদ সেনা দিবস ঘোষণা করলাম। সারাদেশে ওইদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার আহবান জানাচ্ছি।
ফেমাসনিউজ২৪/এফএম/এমএম