
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে আগুয়েরোর ১১টির চেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক নেই অন্য কোনো ফুটবলারের। এতদিন ধরে সমান ১১ হ্যাটট্রিক নিয়ে এ রেকর্ডের শীর্ষে এককভাবে ছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার অ্যালেন শিয়েরার। ম্যান সিটির হয়ে সবমিলিয়ে ১৫তম হ্যাটট্রিক করা আগুয়েরো লিগে আর মাত্র ১টি হ্যাটট্রিক করলেই এককভাবে চূড়ায় বসবেন।
আগুয়েরোর এ রেকর্ডের ম্যাচে গতকাল রোববার রাতে চেলসির সঙ্গে আক্ষরিক অর্থেই ছেলেখেলায় মাতে ম্যান সিটি। ম্যাচে মাত্র ২৫ মিনিটের মধ্যেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় তারা। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে এ গোলবন্যার শুরুটা করেন রহিম স্টার্লিং।
বার্নার্দো সিলভার জোরালো শট চেলসি ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজ ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি বলে আরো জোরে শট করে দলকে এগিয়ে দেন স্টার্লিং। এ গোলের দশ মিনিট পেরুনোর আগেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আগুয়েরো। ম্যাচের ১৩তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট শটে জাল কাঁপান তিনি।
মিনিট ছয়েক বাদে আবারও স্কোরশিটে ওঠে আগুয়েরোর নাম। এবার চেলসির ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল মুখে একদম ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে যান তিনি। এতো সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করে স্কোরলাইন ৩-০ করেন আগুয়েরো।
ম্যাচের ২৫তম মিনিটে নিজের একমাত্র গোলটি করেন জার্মান মিডফিল্ডার ইল্কায় গুন্ডোগান। এবারও ডিফেন্ডারদের ভুলে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে প্রায় ২২ গজ থেকে গোলটি করেন তিনি। প্রথমার্ধে এই ৪ গোল করেই বিরতিতে যায় ম্যান সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন আগুয়েরো। ডি-বক্সে স্টার্লিংকে ফাউল করলে পেনাল্টিটি পায় তারা। এরই সঙ্গে আসরে ১৭ গোল নিয়ে গোলদাতার তালিকায় যৌথভাবে মোহামেদ সালাহর সঙ্গে শীর্ষে উঠে যান এ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
চেলসির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন স্টার্লিংই। ৮০তম মিনিটে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় এবং চলতি লিগে দ্বাদশ গোলটি করেন এ ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
৬ গোলের এ জয়ে ২৭ ম্যাচে ২১ জয় ও দুই ড্রয়ে শীর্ষে ফেরা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৬৫। শনিবার বোর্নমাউথকে ৩-০ গোলে হারানো লিভারপুলের পয়েন্টও ৬৫। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে তারা। ২৬ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছে চেলসি।
ফেমাসনিউজ২৪.কম/আরআই/আরবি