
তিনি ফেসবুকে তার লেখায় বলেন, বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ নির্বাচনে আসার বিষয়ে অনেকগুলো শর্ত দিয়েছিল। এর অন্যতম ও প্রধান শর্ত ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনোমতেই নির্বাচনে যাবেন না তারা।
সংলাপ শেষে অবশেষে শেখ হাসিনার অধীনেই নিঃশর্তভাবে নির্বাচনে যাচ্ছেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামাতের নেতৃবৃন্দ।
আর এখানেই শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্বের অসাধারণত্ব এবং নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের আস্থা আছে। আস্থা আছে বলেই তারা নির্বাচনে যাচ্ছেন। সেই আস্থা শেখ হাসিনা অর্জন করেছেন।
খুব সহজেই বলা যায়- আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এ সর্বগ্রহণযোগ্য শেখ হাসিনাই হবেন আবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? যদি সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত অনুযায়ী হয়- তাহলে ধরেই নেয়া যায় বিএনপি থেকেই হবে। সেক্ষেত্রে খালেদা জিয়া আর তারেক রহমানের মধ্যেই একজন হবেন নিশ্চিত করে বলা যায়।
এর মধ্যে একজন বেগম জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাতের মামলায় জেলে আছেন। নির্বাচনই করতে পারবেন কিনা সন্দেহ। আরেকজন তারেক রহমান, যুক্তরাষ্টে কালো তালিকাভুক্ত, এফবিআইয়ের চোখে দুর্নীতিবাজ আসামি, ২১ আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, যিনি বর্তমানে ব্রিটিশ নাগরিকত্বও নিয়েছেন।
এরা কখনোই শেখ হাসিনার বিকল্প নয়। যদি এরা শেখ হাসিনার বিকল্প হয়, তাহলে তা হবে এই জাতির জন্য আত্মহত্যার শামিল।
(আশরাফুল আলম খোকনের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
ফেমাসনিউজ২৪.কম/আরআই/আরবি